রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর যে পদ্ধতিতে কাজের উপর দুইটি পয়েন্টেড (Pointed) বা ডোমড (Domed) ইলেকট্রোড কর্তৃক প্রদত্ত চাপের পর বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনার ফলে সৃষ্ট রেজিস্ট্যান্স হতে তাপের সাহায্যে ওয়েল্ড বা কোলেসিন (Coalascene) তৈরি করে ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে স্পর্ট ওয়েন্ডিং বলে। এটি রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর একটি শাখা।
সাধারণত ০.২৫ মিমি - ১৩ মিমি পুরু ধাতব পাতকে ল্যাপ জয়েন্ট করতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬ মিমি পুরু পাতের ক্ষেত্রে ইহা বেশি ব্যবহৃত হয় এবং সর্বোচ্চ ৭৬ মিমি পুরু পাতকে ওয়েল্ডিং করা যায় । তামার পাতের ক্ষেত্রে অবশ্য ১ মিমি এর কম পুরু পাতকে এই পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং করা কষ্টকর।
স্পট ওয়েল্ডিং প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১। সিঙ্গেল স্পট ওয়েল্ডিং (Single Spot Welding)
২। মালটিপল স্পট ওয়েল্ডিং (Multiple Spot Welding)
প্রথমোক্ত পদ্ধতিতে একবার বিদ্যুৎ প্রবাহে কাজের এক স্থানে একটি মাত্র স্পট তৈরি হবে। শেষোক্ত পদ্ধতিতে একই সময়ে দুই বা ততোধিক স্পট তৈরির মাধ্যমে জোড়া দেওয়া হয় ।
স্পট ওয়েল্ডিং-এর সুবিধা হলো-
১। খরচ কম।
২। বহুল নির্ভরশীলতা।
৩। ওয়েন্ডিং স্পিড বেশি।
৪। কম দক্ষ অপারেটর প্রয়োজন।
৫। ডিটরশন কম হয়।
৬। কোনো কিলার রঙ দরকার হয় না।
স্পট ওয়েল্ডিং-এর অসুবিধা হলো-
১। সিম ওয়েল্ডিং-এর চেয়ে ওভার ল্যাপ বেশি।
২। প্রাথমিক খরচ বেশি ।
৩। বেশি পুরু পাতকে জোড়া দেওয়া যায় না ।
আরও দেখুন...